যুবতারুণ‍্যের প্রতি যুবলীগের আহ্বান



 শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যুব-তারুণ্যের জয়যাত্রা: ২০০৯–২০২৪। বাংলাদেশের জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি যুবসমাজ। এ তরুণ শক্তিকে দক্ষ ও উৎপাদনশীল জনশক্তিতে রূপান্তর করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা গত ১৫ বছরে যুববান্ধব ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে, তাঁর সুযোগ্য সন্তান ও বিশিষ্ট তথ্যপ্রযুক্তিবিদ সজীব ওয়াজেদ জয়ের সুপরামর্শে “ডিজিটাল বাংলাদেশ” ভিশন থেকে শুরু করে স্টার্টআপ বাংলাদেশ, স্কিল ডেভেলপমেন্ট, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট, আইডিয়া জেনারেশন কার্যক্রম, প্রযুক্তিবান্ধব কর্মপরিবেশ সৃষ্টি ও উদ্ভাবনী কার্যক্রমের প্রসার—সবকিছুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে বিশ্বের সঙ্গে, এগিয়েছে সময়ের সঙ্গে—স্মার্ট বাংলাদেশের পথে।


২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচন-পূর্বে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ঘোষিত “দিনবদলের ইশতেহার” উৎসর্গ করা হয়েছিল নতুন ভোটার অর্থাৎ যুবসমাজকে। মূলত এই ইশতেহার ছিল যুবতারুণ্যের স্বপ্নপূরণের অঙ্গীকার, যেখানে শিক্ষিত, কর্মদক্ষ, আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর এবং কর্মসংস্থানে আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়ার রূপরেখা দেওয়া হয়েছিল।


শেখ হাসিনা স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছিলেন—

“যুবকরাই বাংলাদেশের শক্তি। তাদের দক্ষতা উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও প্রযুক্তিনির্ভর প্রশিক্ষণ প্রদান হবে আগামী দিনের অগ্রাধিকার।”


এর ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছরে লক্ষ লক্ষ যুবকের জন্য প্রশিক্ষণ, উদ্যোক্তা সৃষ্টি, বিনা জামানতে ঋণ, বিদেশে কর্মসংস্থান, স্টার্টআপ বাংলাদেশ, ফ্রিল্যান্সিং ও আইটি-ভিত্তিক কর্মক্ষেত্র তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।


দিনবদলের ইশতেহারে যুবতারুণ্যকে দেওয়া প্রতিশ্রুতিই রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা পরম মমতায় বাস্তবায়ন করেছেন। যে স্বপ্ন একসময় অনেকের কাছে “অসম্ভব” মনে হয়েছিল, আজ তা বাস্তব রূপ নিয়েছে। তরুণরা আর কেবল চাকরির প্রত্যাশী নয়; বরং উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবক হিসেবেও জাতির উন্নয়নে অবদান রাখছে।


শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যুব উন্নয়ন সম্পর্কিত (২০০৯–২০২৪):


১. শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন


শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিস্তার: ২০০৯ সালের পর থেকে দেশে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১০০-রও বেশি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় এবং অসংখ্য পলিটেকনিক ও টেকনিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।


কারিগরি ও ভোকেশনাল শিক্ষা: কারিগরি শিক্ষায় ভর্তি সংখ্যা ৩% থেকে বেড়ে ১৭%-এ উন্নীত।


প্রশিক্ষণ কর্মসূচি: যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে বছরে গড়ে ৬–৭ লাখ যুবক-যুবতীকে দক্ষতা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ।


SEIP (Skills for Employment Investment Program): এখন পর্যন্ত প্রায় ১২ লক্ষাধিক যুবক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে কর্মসংস্থানে যুক্ত হয়েছে।


২. কর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন


যুব ঋণ কর্মসূচি: কর্মসংস্থান ব্যাংকের মাধ্যমে সহজ শর্তে ও বিনা জামানতে ঋণ প্রদান, যার ফলে হাজারো তরুণ উদ্যোক্তা ছোট ও মাঝারি ব্যবসা শুরু করেছেন।


স্টার্টআপ বাংলাদেশ (২০২০): ৫০০ কোটি টাকার সরকারি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ড গঠন, যা তরুণ উদ্ভাবকদের প্রযুক্তিভিত্তিক উদ্যোগে বিনিয়োগ করছে।


ই-কমার্সে নতুন দিগন্ত: 

করোনাকালে ই-কমার্সের বিস্তারে হাজারো তরুণ নতুন ব্যবসা শুরু করে স্বাবলম্বী হয়েছে।


যুব নারী উদ্যোক্তা: সরকারি সহায়তায় হাজারো নারী উদ্যোক্তা আত্মনির্ভর হয়েছেন।


৩. তথ্যপ্রযুক্তি ও ফ্রিল্যান্সিং


সজীব ওয়াজেদ জয়ের সুপরামর্শে ও প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশ।


ফ্রিল্যান্সিং: বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অনলাইন ফ্রিল্যান্সার জনশক্তি সরবরাহকারী দেশ। প্রায় ৬.৫ লাখ সক্রিয় ফ্রিল্যান্সার এবং কয়েক মিলিয়ন তরুণ পরোক্ষভাবে যুক্ত।


লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (LEDP): লক্ষাধিক তরুণকে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।


হাইটেক পার্ক ও আইটি ভিলেজ: কালিয়াকৈর, যশোরসহ দেশে একাধিক হাইটেক পার্ক, যেখানে তরুণরা প্রযুক্তিভিত্তিক কর্মসংস্থানে যুক্ত।


৪. প্রবাসে কর্মসংস্থান


বিদেশে জনশক্তি রপ্তানি: ২০০৯–২০২৪ সময়ে প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষাধিক কর্মী বিদেশে গেছেন, যার বড় অংশ তরুণ।


প্রশিক্ষিত শ্রমশক্তি: প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিদেশগামী কর্মীদের ভাষা ও প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ।


রেমিট্যান্স: প্রবাসী তরুণদের পাঠানো অর্থ বছরে প্রায় ২,২০,০০০ কোটি টাকারও বেশি।


৫. খেলাধুলা ও সংস্কৃতি


ক্রিকেট: শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় বাংলাদেশ বিশ্ব ক্রিকেটে শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছেছে। তরুণ ক্রিকেটারদের বিকাশে ব্যাপক বিনিয়োগ হয়েছে।


ফুটবল ও অন্যান্য খেলা: উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে স্টেডিয়াম উন্নয়ন, ক্রীড়া একাডেমি স্থাপন।


যুব ক্রীড়া কর্মসূচি: প্রতিটি জেলায় স্টেডিয়াম, উপজেলায় খেলার মাঠ উন্নয়ন।


সংস্কৃতি: তরুণ শিল্পী ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের অনুদান, প্রশিক্ষণ ও উৎসব আয়োজন।


হঠাৎ যুবতারুণ্যের সামনে কালো অন্ধকার!

৫ আগস্ট ২০২৪—সাম্রাজ্যবাদী দোসর, বাংলাদেশবিরোধী শক্তির প্রতিভূ, গণশত্রু খুনি-ফ্যাসিস্ট ইউনূসের মেটিকুলাস ডিজাইন ধ্বংস করে দিল যুবতারুণ্যের সব অর্জন, স্বপ্ন, সম্ভাবনা!


আজকের প্রশ্ন:

কেন যুবতারুণ্যের চোখেমুখে হতাশা?

কেন তাদের বুকভরা নীরব কান্না?

কেন তারা দিশাহীন?


আজকের যুবতারুণ্যের আহ্বান—

“ফিরে এসো, প্রাণের বাংলাদেশ।”


আমাদের স্বপ্নগুলো এভাবে শেষ হয়ে যেতে পারে না।

আসুন, ধ্বংসস্তুপ থেকে উঠে দাঁড়াই...

আঁধারের প্রাচীর ভেঙে ফেলি।

আবার স্বপ্ন বুনি, আবার সম্ভাবনার দুয়ার খুলি।


যুবতারুণ্যই পারে বদলাতে, বদলে দিতে।


জয় যুবতারুণ্যের হবেই।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

');
?orderby=published&alt=json-in-script&callback=mythumb\"><\/script>");

JSON Variables