ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পেরুল দক্ষিণ ইউনিয়নের ভাটরা গ্রামে। আটককৃত আবদুল মান্নান ওরফে মনু কাজী (৭০) উত্তর ভাটরা গ্রামের মৃত মনছুর আলীর ছেলে। শুক্রবার তথ্যটি নিশ্চিত করেন লালমাই থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহীদুল ইসলাম।
অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) রাত আনুমানিক ১০টার দিকে বাজার থেকে পুত্রবধূর জন্য ঘুমের ঔষধ মেশানো বিরিয়ানির প্যাকেট নিয়ে আসেন অভিযুক্ত শ্বশুর। পুত্রবধূ ওই বিরিয়ানি না খেয়ে তার ৬ বছরের সন্তানকে খাওয়ালে ১০ মিনিটের মধ্যে সন্তান ঘুমিয়ে পড়ে। কিছুক্ষণ পর শ্বশুর পুত্রবধূর ঘরে প্রবেশ করে ভয়-ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করেন। ভুক্তভোগী গৃহবধূ বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগীর মা বকুল আক্তার বলেন, ‘সাত বছর পূর্বে আমার মেয়ের সাথে ভাটরা গ্রামের সৌদি প্রবাসী রবিউল হোসেনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের ঘরে একজন পুত্র সন্তান আসে। মেয়ের স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে মেয়ের শ্বশুর তাকে ধর্ষণ করে। তাই মেয়ের স্বামীর পরামর্শে মামলা করেছি, এখন এই ঘটনার উপযুক্ত বিচার চাই।’
এ বিষয়ে স্থানীয়দের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। তারা অনেকে অভিযোগ করে বলেন, গৃহবধূর পরকীয়ার বিষয়টি শ্বশুর দেখে ফেলায় শ্বশুর মনু কাজীকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে।
লালমাই থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘ধর্ষণের অভিযোগে স্থানীয় জনতা মনু কাজীকে আটক করে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তকে থানায় নিয়ে আসে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে, মামলা নং ১০ ধারা-নারী ও শিশু ৯(১)। আসামিকে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।’


0 মন্তব্যসমূহ